Last updated on May 28th, 2022 at 09:40 pm
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছে। অনেকদিন কোন পোস্ট লিখি না। তাই ভাবতেছিলাম কি নিয়ে লিখা যায়। এর পর মনে হল আমি ভুটান ঘুরে এসেছি কিন্তু এই ভ্রমণ ও ভুটানের ভিসা নিয়ে কিছু লিখি নি এখনো। আসলে সময় হয়ে উঠে না, তাই এখন ভূটান ভ্রমণ নিয়ে এখনো কিছু লিখি নি। কিন্তু ভূটানের ভিসার ব্যাপার হল বাংলাদেশিদের জন্য সবচেয়ে সহজ বিষয়। তাই ভাবলাম অল্প সময়ে আপনাদের ভুটানের ভিসা নিয়ে বিস্তারিত লিখে ফেলি। আশা করি এই পোস্ট পরার পর ভূটানের ভিসা নিয়ে আর কোন প্রশ্ন আপনার মনে থাকবে না। আর থাকলেও চিন্তা কি? আমি আছি কি করতে? শুধু কমেন্ট করবেন আর আমি ঝটপট উত্তর দিব। 🙂
Table of Contents
ভুটান ভিসা
ভুটান বাংলাদেশিদের জন্য অন-এরাইভাল ভিসা দিয়ে থাকে। তার মানে ভুটান ভ্রমনের জন্য আমাদের আগে থেকে ভিসা নেয়ার দরকার নেই। মানে ভূটানের ভিসা নিয়ে কোন টেনশন নেই। শুধু ভুটানের ইমিগ্রেশন পর্যন্ত পৌঁছাইতে পারলেই হল। ওরা পাসপোর্টে ভিসা/এন্ট্রি পারমিটের সিল মেরে দিবে।
আমরা বাংলাদেশিরা সাধারণত দুভাবে ভুটানে যাই। বাই এয়ারে পারো এয়ারপোর্ট ও বাই রোডে ইন্ডিয়ার মধ্য দিয়ে ফুন্টশোলিং বর্ডার হয়ে। এই যেকোন ইমিগ্রেশনেই প্রথমে ৭ দিনের পারমিট দিয়ে থাকে। তবে এই পারমিট দিয়ে শুধু পারো ও থিম্পু ঘোরা যাবে। এর বাইরে ভূটানের অন্য কোন ডিস্ট্রিকে যেতে হলে থিম্পু ইমিগ্রেশন অফিস থেকে পারমিট নিতে হয়। এছাড়া ৭ দিনের বেশি থাকতে চাইলেও থিম্পুর এই ইমিগ্রেশন অফিস থেকেই এক্সটেনশন পারমিট নিতে হয়।
এই ছবিতে দেখুন ভুটানের ভিসা বা এন্ট্রি পারমিট স্ট্যাম্প। এটি আমার এবছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ভ্রমনের সময় দেয়া হয়েছিল।
ভুটানের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ভুটানের অন-এরাইভাল ভিসা নেয়ার জন্য নিম্নোক্ত ডকুমেন্ট লাগবে।
- মূল পাসপোর্ট
- পাসপোর্টের ডাটা পেইজের ১ কপি ফটোকপি
- এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- হোটেল বুকিং ও
- পুরনকৃত এন্ট্রি পারমিট ফরম
পাসপোর্টের মেয়াদ ভুটানে প্রবেশের দিন থেকে কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে। এখন ভূটানের এন্ট্রি পারমিটের জন্য অবশ্যই হোটেল বুকিং লাগবে। আমরা যখন ভুটানে গিয়েছিলান তখন হোটেল বুকিং নিয়ে যায়নি। তাই অনেক ঝামেলা হয়েছিল। পরে ইমিগ্রেশন অফিসের বাইরে একজন এজেন্টের মাধ্যমে অন-স্পট হোটেল বুক করে সেই বুকিং কপি দিয়ে এন্ট্রি পারমিট নিয়েছিলাম। তাই আপনারা অবশ্যই হোটেল বুকিং নিয়ে যাবেন। হোটেল বুকিং করতে পারেন Agoda বা Booking.com থেকে। আপনারা চাইলে বুকিং করে পড়ে ক্যানসেল করে দিতে পারেন। কারণ আমার মনে হল ওরা জাস্ট একটা ফাইল করতে এই বুকিং নেয়, কনফার্মেশন না হলেও চলবে।
আর এন্ট্রি পারমিট ফরম আপনারা ইমিগ্রেশন কাউন্টারেই পাবেন। ফরমটি নিয়ে সতর্কতার সাথে ঠিক করে পুরন করুন। কোনকিছু না বুঝলে বা কনফিউশন থাকলে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে জিজ্ঞেস করুন। ভুটানিজ ইমিগ্রেশনের লোকজন ভাল হেল্পফুল।
ভুটানের ভিসা ফি
২০২০ সাল থেকে নতুন নিয়মে বাংলাদেশিরা আর ফ্রি ভ্রমণ করতে পারবে না। এখন বাংলাদেশিদের প্রতিদিন ১২০০ রুপি করে ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ ফি দিতে হবে। তাই এটা কি এন্ট্রি পারমিট নেয়ার সময় দিতে হবে নাকি আগে ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে দিতে হবে সেটা এখনো কনফার্ম জানি না। কারণ এই নিয়ম চালু হবার পরেই করোনা শুরু হয় তাই কোন আপোডেট পাই নি।
বাংলাদেশিদের জন্য ভূটানের ভিসা বা এন্ট্রি পারমিটের জন্য কোন ফি লাগে না। ফ্রি!
শুধু তাই নয় থিম্ফু থেকে ভিসা বা পারমিটের মেয়াদ বাড়ানো বা পুনাখা, হা ভ্যালি ও অন্য কোন পারমিটের জন্যও কোন ফি লাগে না।
বাইরোডে ভুটান
মনে রাখবেন আপনি যদি বাই এয়ারে ভূটান যান তাহলে কোন ঝামেলা নেই। তবে যদি বাই রোডে ভুটান যেতে চান তাহলে কিন্তু অবশ্যই ইন্ডিয়ার ট্রানজিট ভিসা লাগবে। ইন্ডিয়ান ট্রানজিট ভিসা আবেদনের বিস্তারিত পড়ুন এই পোস্ট।
শেষকথা
আশা করি ভুটানের ভিসা সম্পর্কে আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছি। তারপরেও ভুটান ভিসা সম্পর্কে আরো কোন প্রশ্ন থাকলে করুন। আমি উত্তর দিব।
আর আপনার কাছে যদি আপডেট তথ্য থাকে অথবা কোন তথ্য ভুল মনে হয় তাহলে দয়া করে কমেন্ট করে জানান, আমি আপডেট করব। এতে সবারই উপকার হবে। আমি উপযুক্ত ক্রেডিট দেয়ার চেষ্টা করব।
অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।
নোটিশঃ সম্পুর্ন লেখা কপি করা নিষেধ। কোথাও কোন বিশেষ অংশ সাহায্যের জন্য দিতে পারেন তবে অবশ্যই ক্রেডিট হিসেবে এই পোস্টের লিংক দিবেন। অনেক সময় দিয়ে আপনাদের সুবিধার্ধে এই লেখাটি লিখা হয়েছে, তাই আশা করব কপি পেস্ট থেকে বিরত থেকে লেখকের কষ্টের মূল্য দিবেন। 🙂
ভুটানে সিটিজেন হতে চাইলে তার জন্য কি করতে হবে
আমার জানা নেই এটা