Skip to main content
থ্রি মাস্কেটিয়ার্স/তিন মাস্কেটিয়ার্স

দ্য থ্রি মাস্কেটিয়ার্স – বই রিভিউ

Last updated on November 18th, 2021 at 06:59 pm

গতকাল আমি আলেকজান্দার দ্যুমার থ্রি মাস্কেটিয়ার্স বইটি পড়া শেষ করলাম। তাই ভাবলাম মাথায় সব তাজা তাজা থাকতে ছোট্ট একটি রিভিউ লিখে ফেলি।

বই পরিচিতি

বইয়েরর নাম: থ্রি মাস্কেটিয়ার্স/তিন মাস্কেটিয়ার (The Three Musketeers)

মূল নাম: Les Trois Mousquetaires (ফ্রেঞ্চ)

লেখকের নাম: আলেকজান্ডার দ্যুমা (Alexandre Dumas)

প্রকাশকাল: ১৮৪৪ ইং

উল্লেখযোগ্য চরিত্র:

  • অ্যাথোস
  • পর্থোস
  • আরামিস
  • দারতায়া
  • কন্সট্যান্ট বোনাসিও
  • মিলাডি

কেমন লেগেছে আমার?

বইটি খুব ভাল লেগেছে আমার। আমার এই ধরনের এতিহাসিক পটভুমিতে লেখা বইগুলো ভালই লাগে। এতে সেই আগের শতাব্দির রাজনীতি জীবনধারা ও ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়। তবে আমার কাছে এই বইটা এগুলোর চাইতে দারতায়া আর কন্সট্যান্ট বোনাসিওর ট্রাজিক প্রেমকাহিনী মনে হয়েছে। পড়ে দেখুন, ভাল লাগবে আশা করি।

কাহিনী সংক্ষেপ

কাহিনী সম্পুর্ন না বলে আমি আপনাকে এই বইয়ের কাহিনি সম্পর্কে একটা ধারণা দিব এখন।

কাহিনীর শুরু হয় দারতায়া নামক এক ১৮-১৯ বছরের এক যুবকের মাস্কেটিয়ার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গ্রাম থেকে প্যারিসে প্রত্যাবর্তন নিয়ে। সেখানে গিয়ে দারতায়ার ঝগড়া বাধে একি সাথে অপর তিন বন্ধু অ্যাথোস, পর্থোস ও আরামিসের সাথে। কিন্তু লড়ায়ের পরিবর্তে ঘটনাক্রমে তারা হয়ে উঠে পরম বন্ধু। আর দারতায়া হয়ে যায় একজন মাস্কেটিয়ার ও রাজার প্রিয়।

এরপর ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ও রানীর মাঝে শুরু হয় দ্বন্দ। রানীর দাসী হিসেবে কাজ করে কন্সট্যান্ট বোনাসিও নামে এক সুন্দরি, দারতায়া যার প্রেমে পড়ে যায়। এরপর রানীর কাজে সহায়তা দরকার হলে কন্সট্যান্ট দারতায়াকে বললে সে তা, তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে সফলতার সাথে করে। আস্তে আস্তে তারা পরাক্রমশালী হয়ে ওঠে আর এটা মেনে নিতে পারে না প্রধানমন্ত্রী রিশেলিও। সে মিলাডি নামক এক সুন্দরি কিন্তু ভয়ানক কুচক্রী মহিলাকে ব্যবহার করে রানীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কাজ করাতে। এর মধ্যে দিয়ে অনেক ঘটনা প্রবাহ ঘটতে থাকে। আর শেষের দিকে মিলাডি কন্সট্যান্টকে বিষ দিয়ে হত্যা করে। আর দারতায়া ও তার তিন বন্ধু তার বিচার করে মৃত্যুদন্ড দেয়। এ দন্ড দেয়ার ঘটনাটাও অনেকটা থ্রিলার টাইপের। মজা পাবেন। শেষে প্রধানমন্ত্রী/কার্ডিনাল দারতায়ার সাহস, বীরত্ব ও বিচক্ষণতা দেখে তাকে মাস্কেটিয়ার বাহিনীতে লেফটেন্যান্ট পদে নিয়দ দেন। এখানেও নাটকীয়তা আছে অনেক। 🙂

যাইহোক, এটাই মুলত সারসংক্ষেপ। তবে অবশ্যই সব মজা নিতে আপনাকে পুরো বইটি পড়তে হবে।

এখানে থ্রি মাস্কেটিয়ার্স বই থেক আমার ভাল লেগেছে এমন কিছু লাইন তুলে দিচ্ছি,

  • সবাই একজনের জন্য, একজন সবার জন্য।
  • তবে এ পর্যন্ত আসায় কোন ক্ষতি হয়নি আমার। তোমাকে দেখতে পেলাম!
  • যদি আমি মরে না যাই, আবার আমি আসব তোমার কাছে, ম্যাডাম। সারা দুনিয়া যদি উলটে ফেলতে হয় তবু।
  • বন্ধু, ভালবাসা বড় বিপদজ্জনক জিনিস! এ শুধু দুর্ভাগ্যের দিকে, বেদনার দিকে মানুষকে টেনে নিয়ে যায়। (এথোস টু দারতায়া)

ইংরেজিতে আরো উক্তি পড়তে চাইলে দেখুন এখানে https://www.goodreads.com/work/quotes/1263212-les-trois-mousquetaires

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

থ্রি মাস্কেটিয়ার্স বইটি কার লেখা

থ্রি মাস্কেটিয়ার্স বইটি ফরাসি লেখক আলেকজান্ডার দ্যুমা (Alexandre Dumas) এর লেখা।

দ্য থ্রি মাস্কেটিয়ার্স বইটি কত সালে প্রকাশিত হয়?

দ্য থ্রি মাস্কেটিয়ার্স বইটি ১৮৪৪ লিখা হয়।

উপসংহার

বইটি পড়ার পর আমার একটাই প্রশ্ন, যে দ্যুমা সাহেব বইটির নাম ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ কেন রাখলেন? হওয়া উচিৎ ছিল “ফোর মাস্কেটিয়ার্স”।

কেন রাখেননি তা উনি বেচে থাকলে ভাল বলতে পারতেন। লেখকরা আমাদের মত এত সোজাসাপ্টাভাবে জিনিসগুলো দেখলে তো আর তারা এত মহৎ কাজ করতে পারতেন না, নাকি?

কেমন লাগল রিভিউটি আর কোন মতামত থাকলে অবশ্যই জানাবেন কমেন্ট। ভাল থাকবেন। বেশি করে বই পড়ুন।

Saiful Islam Sohel

আমি সাইফুল ইসলাম সোহেল। ভালো লাগে নিত্য-নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে ও অন্যকে জানাতে। লিখতে অনেক ইচ্ছে হয় কিন্তু সময় বের করে লিখতে পারি না। আর কিছু লিখতে পারলে অনেক ভালো লাগে। ২০১৩ সাল থেকে ফ্রিল্যান্স ইন্টারনেট রিসার্চার ও সেলস এসোসিয়েট হিসেবে কাজ করছি আপওয়ার্কে। বর্তমানে বি.এসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং-এ মন নেই, পড়তে হচ্ছে বলে পড়ছি। ক্যারিয়ারে নিজের মত করে কিছু করতে মন চায়। ভ্রমনের প্রতি আকর্ষন তীব্র আমার। তবুও দেখা যায় বছর শেষে দু এক জায়গার বেশি যাওয়া হয় না। :-( আরো পড়ুন https://nirbodh.com/about/

3 thoughts to “দ্য থ্রি মাস্কেটিয়ার্স – বই রিভিউ”

কমেন্ট করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.