Last updated on October 22nd, 2023 at 10:47 pm
রেমিটেন্স সার্টিফিকেট মাথায় ঘুরছে? চিন্তা নেই, আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। আমি নিজে এইবার তিন ব্যাংক থেকে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট সিংগ্রহ করেছি। তাই আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে আপনাকে জানাবো রেমিটেন্স সার্টিফিকেট কি, কিভাবে পাবেন ও কি করবেন এটা দিয়ে। তো চলুন জেনে নেই সব কিছু।
Table of Contents
- 1 ১. রেমিটেন্স সার্টিফিকেট কি?
- 2 ২. কি করব রেমিটেন্স সার্টিফিকেট দিয়ে?
- 3 ৩. কিভাবে পাব রেমিটেন্স সার্টিফিকেট?
- 3.1 ৩.১ সব ট্রান্সফারের জন্য আপনার রিসিভিং ব্যাংক থেকে
- 3.2 ৩.২ পেওনিয়ার থেকে ব্যাংক ট্র্যান্সফার
- 3.3 ৩.৩ ওয়্যার ট্রান্সফার
- 3.4 ৩.৪ মার্কেটপ্লেস থেকে সরাসরি লোকাল ব্যাংকে ট্রান্সফার
- 3.5 ৩.৫ জুম (Xoom) থেকে ব্যাংক ট্র্যান্সফার
- 3.6 ৩.৬ ওয়াইজ থেকে ব্যাংক ট্র্যান্সফার
- 3.7 ৩.৭ অন্যান্য
- 3.8 ৪. রেমিটেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার খরচ
- 4 শেষকথা
১. রেমিটেন্স সার্টিফিকেট কি?
আপনার আয়কৃত অর্থ যে বিদেশ থেকে বৈধ চ্যানেলে দেশে এসেছে এর একটা প্রমাণপত্রই হল রেমিটেন্স সার্টিফিকেট।
এই সার্টিফিকেট নিশ্চিত করে যে আপানি একটি নির্দিষ্ট সময়ে উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ বৈধভাবে দেশে এনেছেন। এতে সাধারণত আপনার নাম, ব্যাংক একাউন্ট নম্বর, টাকার পরিমাণ, ট্রানজেকশন আইডি, তারিখ ইত্যাদি উল্লেখ থাকে। নিচে আমি কয়েকটি ব্যাংকের রেমিটেন্স সার্টিফিকেটের ছবি দিয়ে দেব যাতে আপনারা বুঝতে পারেন সার্টিফিকেটটি কেমন।
২. কি করব রেমিটেন্স সার্টিফিকেট দিয়ে?
আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় আয়ের উৎস প্রমানের জন্য এই সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়।
এছাড়া আপনি অন্যান্য কাজে এই সার্টিফিকেট আপনার আয়ের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন ধরুন উন্নত দেশের ভিসা করার সময় আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমান হিসেবেও এটা ব্যবহার করতে পারেন। যারা জব করে তারা কোম্পানি থেকে স্যালারি স্টেটমেন্ট নিতে পারে। আর ফ্রিল্যান্সারদের জন্য রেমিটেন্স সার্টিফিকেট স্যালারি স্টেটমেন্ট এর মত কাজ করবে। কারণ এতে খুব সুন্দর করে তারিখ, টাকার পরিমাণ ইত্যাদি উল্লেখ থাকে।
৩. কিভাবে পাব রেমিটেন্স সার্টিফিকেট?
রেমিটেন্স সার্টিফিকেট কি তা তো জানলেন এখন হয়ত আপনার প্রশ্ন কিভাবে পাব, খরচ কত বা কে ইস্যু করবে এই রেমিটেন্স সার্টিফিকেট, তাইনা?
আপনার আয়কৃত অর্থ বিদেশ থেকে বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আসে। চ্যানেলগুলো হতে পারে মানি এক্সচেঞ্জ, SWIFT, ব্যাংক বা অন্য কোন পেমেন্ট গেটওয়ে। এরা বিদেশ থেকে আপনার নামে আমেরিকান ডলার (ইউএসডি) পাঠায় আর দেশে অবস্থিত এদের পার্টনারগণ আপনাকে বাংলাদেশি মূদ্রা তথা টাকা প্রদাণ করে থাকে। তো সহজে বলতে গেলে দেশে যে প্রতিষ্ঠান আপনাকে ইউএসডি এর বিপরীতে টাকা প্রদান করল সেই প্রতিষ্ঠানই আপনাকে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট ইস্যু করবে।
এখন কথা হল আমি জানব কিভাবে যে কে এই ইউএসডি থেকে আমার একাউন্টে টাকা দিল?
এটা জানার জন্য আপনার যে ব্যাংক একাউন্টে রেমিটেন্স আসে সেটার স্টেটমেন্ট চেক করতে হবে। সেখানে প্রায় সব সময়ই এটা উল্লেখ থাকে। এই লেনদেনগুলোত সাধারণত ক্লিয়ারিং ব্যাংক BEFTN এর মাধ্যমে বেনফিসিয়ারি ব্যাংকে ক্রেডিট করে থাকে। তো আপনি আপনার নিজের একাউন্ট স্টেটমেন্ট চেক করলেই লেনদেনগুলোতে দেখবেন ব্যাংকের নাম, FRD ডিপার্টমেন্ট, রেফারেন্স নম্বর, যে একাউন্ট থেকে ক্রেডিট হয়েছে তার নম্বর ইত্যাদি উল্লেখ থাকে। নিচে আমার DDBL এর স্টেটমেন্টে ব্যাংক এশিয়া থেকে আগত রেমিটেন্সগুলো আমি মার্ক করে দিয়ে দিয়েছি, দেখুন।
সময় ও ঝামেলা এড়াতে প্রতিটি লেনদেনের জন্য আলাদা আলাদা না নিয়ে একটা নির্দিষ্ট সময় পর সার্টিফিকেট নিতে পারেন।
আমরা সাধারণত যারা ফ্রিল্যান্সার তারা সাধারণত নিম্নলিখিত উপায়ে টাকা দেশে আনি।
- মার্কেটপ্লেস থেকে পেওনিয়ারে বা ওয়াইজে নিয়ে তারপর সেখান থেকে লোকাল ব্যাংকে ট্রান্সফার দেই
- মার্কেটপ্লেস ওয়্যার ট্রান্সফার দেই (SWIFT এর মাধ্যমে)
- মার্কেটপ্লেস থেকে সরাসরি লোকাল ব্যাংকে ট্রান্সফার দেই
- এছাড়া জুম সার্ভিস ব্যাবহার করে
এখন আমি উপরের সবগুলোর ক্ষেত্রে কিভাবে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট পাবেন তা নিচে বলছি।
৩.১ সব ট্রান্সফারের জন্য আপনার রিসিভিং ব্যাংক থেকে
ইদানীং কিছু কিছু ব্যাংক সকল ধরনের সোর্স থেকে সব রেমিটেন্স এর জন্য নিজেরাই রেমিটেন্স সার্টিফিকেট ইস্যু করছে। যেমন আমার কনফার্ম জানামতে সিটি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক তাদের একাউন্টে আসা সব রেমিটেন্স এর জন্য নিজেরাই রেমিটেন্স সার্টিফিকেট ইস্যু করছে। এর মানে আপনার রেমিটেন্স ওয়্যার ট্রান্সফার, পেওনিয়ার, ওয়াইজ, জুম, মার্কেটপ্লেস বা অন্য যেকোন সোর্স থেকেই থেকেই আসুক না কেন তারা নিজেরাই সেসব ট্রানজেকশন আপনার স্টেটমেন্ট থেকে ফিল্টার করে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট ইস্যু করছে। তবে অনেক শাখাই এটা না জানতে পারে তাই তাদেরকে একটু বুঝিয়ে বলতে হতে পারে।
যারা The City Bank থেকে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট নিবেন। তারা অবশ্যই প্রিন্ট করার আগে ট্রান্সজেকশন চেক করে নিবেন।ওরা সাধারণত, BEFTN দিয়ে ট্রান্সজেকশন গুলো ফিল্টার করে, এতে আপনার একাউন্টে BEFTN হয়ে আসা অন্যান্য ট্রান্সজেকশন গুলো চলে আসে। আমার ক্ষেত্রে আমি শুধু Bank Asia (পেওনিয়ার) ও MTB (ওয়াইজ) এর ট্রান্সজেকশন গুলো রাখতে বলেছিলাম। কারণ এই দুই ব্যাংক থেকে আমার একাউন্টে লোকাল BEFTN হয়নি।
সৌজন্যেঃ সজিব সরকার ভাই
৩.২ পেওনিয়ার থেকে ব্যাংক ট্র্যান্সফার
যারা পেওনিয়ার ব্যাবহার করে লোকাল ব্যাংকে টাকা আনেন তারা কিভাবে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট পাবেন? সব সিস্টেমের মাঝে এইটাই সবচেয়ে ঝামেলামুক্ত মনে হয়েছে আমার।
প্রথমেই আপনি পেওনিয়ার থেকে যে ব্যাংকে ট্রান্সফার দেন সে ব্যাংকের একটি স্টেটমেন্ট নিন। আপনি যদি পেওনিয়ার থেকে একাধিক ব্যাংকে ট্রান্সফার দেন তাহলে সেই ব্যাংকগুলোরও স্টেটমেন্ট নিন। এরপর ব্যাংক এশিয়া থেকে EFT হয়ে আশা লেনদেনগুলো চিনহিত করুন। নিচের ছবিতে দেখুন আমি কিভাবে মার্ক করেছি।
এখন মার্ক করা হয়ে গেলে স্টেটমেন্টগুলো নিয়ে কারওয়ান বাজারে অবস্থিত ব্যাংক এশিয়া টাওয়ার ব্রাঞ্চে চলে যান। সেখানে গিয়ে বলবেন ফরেইন রেমিটেন্স বিভাগে যাব। তারপর ভিতরে গিয়ে বললেই হবে আপনি পেওনিয়ার রেমিটেন্স সার্টিফিকেট নিতে এসেছেন।
এরপর ওরা একটা অ্যাপ্লিকেশন ফরম দিবে যেটা আপনাকে পূরণ করতে হবে। কিছু তথ্য দিতে হবে যেমন, নাম, একাউন্ট নাম্বার, কোন পিরিয়ডের সার্টিফিকেট চাচ্ছেন এসব। এরপর ওরা আপানার আবেদন ও স্টেটমেন্ট জমা নিবে ও আপনাকে দু-তিন পর আসতে বলবে। তো দু-তিন পর আসলেই পেয়ে যাবেন নিচের ছবির মত রেমিটেন্স সার্টিফিকেট।
“এছাড়া এখন আপনি চাইলে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট ইমেইলেও নিতে পারেন। এটাই সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি আসলে। এর জন্য আপনার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট নিয়ে রেমিটেন্স ট্রানজেকশনগুলি মার্ক করুন। তারপর সেটি স্ক্যান করে ব্যাঙ্ক এশিয়ার ফরেইন রেমিটেন্স ডিপার্টমেন্টের ইমেইল পাঠিয়ে দিন। ২-৩ দিনের মধ্যে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট আপনার ইমেইলে পাঠিয়ে দিবে। ইমেইলে অবশ্যই অর্থবছর উল্লেখ করবেন ও মোবাইল নম্বর দিবেন যাতে কোন সদরকারে তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। নিচে কয়েকটা ইমেইল দিলাম।
ইমেইলঃ
jaheda.akhter@bankasia-bd.com (আমি আগস্ট ২০১৯ ও জুলাই ২০২০ এ এই ইমেইল ব্যবহার করে সার্টিফিকেট নিয়েছি)
কিছু বিষয় জেনে রাখা ভালঃ
- আপনি ব্যাংক স্টেটমেন্ট চাইলে ফটোকপিও জমা দিতে পারেন
- আপনি যদি চান রেমিটেন্স সার্টিফিকেট নেয়ার দিন আপনি না এসে অন্য কেউ আসবে তাহলে আপনি তার নাম লিখে দিতে পারেন। ফর্মে জায়গা আছে।
- ব্যাংক এশিয়ার লোকাল ব্রাঞ্চগুলোতে এই আবেদন করে লাভ নেই। কারণ আমিও ধানমন্ডি ব্রাঞ্চে করেছিলাম তারা বোঝে না ও তিন চার দিন পর আমার আবেদন ফেরত দিয়েছে ও হেড অফিস পল্টনে যোগাযোগ করতে বলেছে। তাই আমি বলব আপনারাও সময় লস না করে হেড অফিসেই যান অথবা ইমেইলে নিন।
৩.৩ ওয়্যার ট্রান্সফার
আপনি যদি মার্কেটপ্লেস বা ক্লায়েন্ট থেকে আপনার ব্যাংক একাউন্টে ওয়্যার ট্রান্সফার দেন তাহলে আপনার একাউন্টে সরাসরি ডলার আসে ও ব্যাংক এই ডলারের সমপরিমাণ টাকা আপনার একাউন্টে ক্রেডিট করে দেয়। এক্ষেত্রে লক্ষ্য করুন যে আপনার ব্যাংকই কিন্তু ডলার থেকে টাকা ক্রেডিট করেছে, তার মানে আপনার ব্যাংকই এই ক্ষেত্রে আপনাকে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করবে।
এক্ষেত্রে যখন আপনার সার্টিফিকেট দরকার তখন স্টেটমেন্টে ওই লেনদেনটি বা লেনদেনগুলো চিনহিত করে নিয়ে গেলেই ওরা সার্টিফিকেট দিয়ে দিবে। তবে অনেক ব্যাংক প্রথমেই ব্যাপারটি নাও বুঝতে পারে। তাই একটু বুঝিয়ে বলুন। না বুঝলে তাদের হেড অফিসের FRD বা Foreign Remittance Department এর সাথে কথা বলতে বলুন।
যেমন আমি গতবছর Upwork থেকে আমার ডাচ-বাংলার একাউন্টে একটা ওয়্যার ট্রান্সফার দিয়েছিলাম। তো গত সপ্তাহে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট এর কথা বলতে গেলে ওরা বুঝতেই পারে নাই আর আমাকে হেড অফিসে যোগাযোগ করতে বলে। পরে হেড অফিসে যোগাযোগ করলে তারা বলে যে আপনার যে ব্রাঞ্চে একাউন্ট তারাই এইটা ইস্যু করবে। পরে তারা ফরিদপুর ব্রাঞ্চে যোগাযোগ করে বুঝিয়ে বলে ও রেমিটেন্স সার্টিফিকেট এর ফরম্যাট পাঠিয়ে দেয়। পরে আমি সার্টিফিকেট নিতে পারছি। 🙂 নিচের ছবিতে দেখুন ডাচ-বাংলার দেয়া সার্টিফিকেট।
সহজে বলতে গেলে এক্ষেত্রে নিচের কয়েকটি ধাপেই সার্টিফিকেট পাবেন এক্ষেত্রে।
- আপনার একাউন্টের একটা স্টেটমেন্ট নিন
- স্টেটমেন্টে এই লেনদেনগুলো মার্ক করুন
- ব্যাংকে গিয়ে এই লেনদেনগুলো দেখিয়ে বলুন যে আপনার রেমিটেন্স সার্টিফিকেট লাগবে
- খুব বেশি লেনদেন না হলে ও সেই ব্রাঞ্চ ব্যাপারটা বুঝতে পারলে সাথে সাথেই পেয়ে যাবেন
৩.৪ মার্কেটপ্লেস থেকে সরাসরি লোকাল ব্যাংকে ট্রান্সফার
ঘুরে ফিরে সব জায়গার প্রসেসই সেইম। আপনাকে জাস্ট খুঁজে বের করতে হবে কারা ডলার প্রসেস করে। সরাসরি লোকাল ব্যাংক ট্রান্সফারে সাধারণত যে ব্যাংকে ট্রান্সফার দিচ্ছেন তারাই প্রসেস করে। তাই তারাই ইস্যু করবে। এছাড়া যদি অন্য কিছু হয় তাহলে আপনার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট চেক করলেই বুঝতে পারবেন কারা এই লেনদেনটি প্রসেস করছে।
৩.৫ জুম (Xoom) থেকে ব্যাংক ট্র্যান্সফার
সব একই প্রসেস। শুধু এটা জেনে নিন যে জুমের দেশি পার্টনার Social Islami Bank. তাই আপনার ব্যাংকের স্টেটমেন্টে জুমের লেনদেনগুলো মার্ক করে SIBL এর হেড অফিসের FRD ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করলেই সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন। আর বিস্তারিত আমাদের উজ্জ্বল ভাই Upwork Premier Club আয়োজিত ইনকাম ট্যাক্স সেমিনারে বলেছেন। সেই ভিডিও দেখুন এখানে
৩.৬ ওয়াইজ থেকে ব্যাংক ট্র্যান্সফার
ওয়াইজ এর বাংলাদেশি পার্টনার ব্যাংক হল মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। ওয়াইজ থেকে দেশে ‘টাকা’ পাঠালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ই আপনার ব্যাংকে একাউন্টে EFT করে টাকা ক্রেডিট করে।
ওয়াইজ এর লেনদেনের রেমিটেন্স সার্টিফিকেট পাওয়া পেওনিয়ার এর মত সহজ না কারণ। আমরা সবেমাত্র ওয়াইজ ব্যবহার শুরু করেছি। এর জন্য আপনার যে ব্যাংকে একাউন্ট তাদের বললে তারা যদি MTB এর FRD ডিপার্টমেন্টে মেইল করে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য তবেই MTB আপনার ব্যাংকে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট পাঠিয়ে দিবে। সেক্ষেত্রে MTB 2% কেটে রাখতেছে। পেওনিয়ারের মত ব্যাংক এশিয়ায় যেমন আমরা ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট নিতে পারি সেওরকম সুবিধা নাই ওয়াইজ এর ক্ষেত্রে।
এছাড়া সিটি ব্যাংক, ডাচ বাংলা, ব্রাক ও ইস্টার্ন ব্যাংক ওয়াইজ সহ সব ধরনের রেমিটেন্স এর জন্য নিজেরাই রেমিটেন্স সার্টিফিকেট ইস্যু করে থাকে। এতা সবচেয়ে সুবিধাজনক বিষয়।
৩.৭ অন্যান্য
আমার এক আংকেল কাতার থেকে কিছু টাকা পাঠিয়েছিল সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে। সেটার জন্যও আমি রেমিটেন্স সার্টিফিকেট নিয়েছি। এর জন্য সেই একই কথা। স্টেটমেন্ট মার্ক করে সিটি ব্যাংকের NRB সেকশনে যেতে হবে। অন্য কোন ব্রাঞ্চ এ গিয়ে লাভ নেই। আমি অনেক ঘুরছি কেউ ঠিক বলতে পারেনি, পরে এঘর ওঘর করে NRB সেকশনে গিয়ে পেয়েছি। এইটা মতিঝিলের জীবম বীমা অফিসের পাশে অবস্থিত। জীবন বীমা বিল্ডিং এর নিচে সিটির এমনি একটা শাখা আছে তবে সেটা না। পাশের বিল্ডিং এই পাবেন না হলে এই শাখার কারো কাছে জানতে চাইলেই হবে। নিচে দেখুন এই ব্যাংকের সার্টিফিকেটটি।
৪. রেমিটেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার খরচ
ব্যাংকভেদে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট তুলতে টাকা লাগতে পারে আবার নাও লাগতে পারে। এটা নির্ভর করে আপনার ব্যাংকের উপর। যেমন আমি ব্যাংক এশিয়া ও সিটি ব্যাংক নিয়েছি কোন টাকা লাগেনি। তবে দুঃখের বিষয় ডাচ-বাংলা মনে হয় ফি কাটছে। ওরা একে তো হিউজ ঝামেলা করছে না জানার কারণে আবার ফিও কাটছে 🙁
তবে ফি সাধারণত ৩০০ এর আশেপাশেই হবে যদি লাগে।
শেষকথা
রেমিটেন্স সার্টিফিকেট নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা থেকে সব বিস্তারিত দেয়ার চেষ্টা করেছি। তারপরেও আরো কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আমি উত্তর দিব।
প্রশ্নের জন্য সাইটের মেইন কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করলে আমার কাছে ইমেইলে নোটিফিকেশনে আসবে তাই দ্রুত উত্তর দিতে পারব। আর ফেসবুক কমেন্ট করলে আমাকে ম্যানুয়্যালি চেক করতে হয়, তাই একটু দেরি হতে পারে।
আর আপনার কাছে যদি আপডেট তথ্য থাকে অথবা কোন তথ্য ভুল মনে হয় তাহলে দয়া করে কমেন্ট করে জানান, আমি আপডেট করব। এতে সবারই উপকার হবে। আমি প্রপার ক্রেডিট দেয়ার চেষ্টা করব।
অনেক ধন্যবাদ মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।
নোটিশঃ সম্পুর্ন লেখা কপি করা নিষেধ। কোথাও কোন বিশেষ অংশ সাহায্যের জন্য দিতে পারেন তবে অবশ্যই ক্রেডিট হিসেবে এই পোস্টের লিংক দিবেন। অনেক সময় দিয়ে আপনাদের সুবিধার্ধে এই লেখাটি লিখা হয়েছে, তাই আশা করব কপি পেস্ট থেকে বিরত থেকে লেখকের কষ্টের মূল্য দিবেন। 🙂
গুরু, সুন্দর লিখেছেন।
আপনারাই অনুপ্রেরণা গুরু
The most informative post that I got so far on this field… Really, thank you!
Good to know! You’re welcome. Thank you for taking the time to comment!
আপনার ফ্রীলেন্সার পোস্টটি খুব উপকারী মনে হইছে আমার কাছে। আমার একটা জিনিষ জানার ছিল, আমি একজন ফ্রীলেন্সার হিসেবে বিদেশ থেকে স্ক্রিল এর মাধ্যমে টাকা দেশে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করি, এবং আমার ব্যাঙ্ক স্টাটমেন্ট এ দেখাই “(EFT Cr- By CBLNRB FREMITTAN-2181-PPD-The Cit) ” যেগুলো রেমিটেন্স আসে। কিন্তু আমি যদি এক্সাম্পশন নিতে চাই তাহলে কিভাবে আমি প্রমাণ করবো যে আমার টা আইটি সার্ভিস কাজ? আর এটা ছাড়া তো আমি আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারতেছিনা। এখন আমার কি অবশ্যই নিজের কোম্পানির ট্রেড লাইছেন্স করতে হবে? নাকি ফ্রীলেন্সার হিসেবে ফুল এক্সাম্পশন পাব। এবং কিভাবে একটু বিস্তারিত বললে অনেক উপকার হতো।
ইনবক্সে কথা বলছি।
অনেক উপকারী পোস্ট। তবে ছবি গুলো লোড হচ্ছে না।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। ছবি লোড হচ্ছে। আবার ট্রাই করে দেখুন।